আইনজীবী নিবন্ধনে বিনামূল্যে আইনিসেবা দেয়াকেও বিবেচনায় নেয়া উচিত বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার মতে, বার কাউন্সিলের নিবন্ধন (এনরোলমেন্ট) দেয়ার ক্ষেত্রে একজন আইনজীবী কত মানুষকে বিনামূল্যে আইনি সেবা (লিগ্যাল এইড) দিয়েছেন তা বিবেচনায় নেয়া উচিত।
সুপ্রিম কোর্টে লিগ্যাল এইড ও আইন সাংবাদিকতা শীর্ষক এক কর্মশালায় বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই মতামত তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তার মতে এক্ষেত্রে সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মাহবুবে আলম বলেন, নিম্ন আদালতের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন পেতে হলে একজন নিবন্ধনপ্রার্থীকে তার সিনিয়রের সঙ্গে থেকে ন্যূনতম নির্দিষ্ট সংখ্যক মামলায় বা নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে লিগ্যাল এইড দিতে হবে।
একইভাবে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন পেতে হলেও তা করার লিখিত বা অলিখিত বিধান থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সারাদেশের আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (পদাধিকার বলে) মাহবুবে আলম মনে করেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন দেয়ার ক্ষেত্রেও একই বিধান থাকা উচিত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার সার্বজনীন মৌলিক অধিকার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ও মানবাধিকার সংরক্ষণে সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদানের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইনগত সহায়তা ব্যতিরেকে আইনের দৃষ্টিতে সমতা কখনোই সম্ভব নয়।
এসময় তিনি বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সমাজের অসঙ্গতি দূরীকরণে এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিনাবিচারে আটক রয়েছে বা অর্থাভাবে আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারছে না এমন বিষয়গুলো সাংবাদিকরা অনুসন্ধানি সাংবাদিকতার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরতে পারেন। গণমাধ্যমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারি আইনসেবা কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জাকির হোসেন, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সাঈদ আহেমেদ খান প্রমুখ। সূত্র: পরিবর্তন ডটকম