সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
‘লিগ্যাল এইড ও আইন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সুপ্রিম কোর্টের সম্মেলনকক্ষে ওই কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সমাজের অসংগতি দূরীকরণে এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকতা তথা গণমাধ্যমের ভূমিকা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। মানুষের তথ্য জানার অধিকার এবং গণমাধ্যমের তথ্য জানানোর গভীর দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সামাজিক অঙ্গীকার নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার একটি সর্বজনীন মৌলিক অধিকার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সংরক্ষণে সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদানের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনগত সহায়তা ব্যতিরেকে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ অর্জন কখনোই সম্ভব নয়।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, আইন-আদালত, আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার এবং আইনি সেবাসংক্রান্ত তথ্য আইন সাংবাদিকতার মাধ্যমে উঠে আসে। সাংবাদিকেরা সাধারণ জনগণ ও বিচারপ্রার্থী জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করার গুরুদায়িত্ব পালন করে আসছেন।
লিগ্যাল এইড-বিষয়ক আইন-কানুন প্রতিটি ল’ স্কুলের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন এ বিষয়ের ওপর বিস্তৃত জ্ঞান লাভ করতে পারে। সরকারি খরচে পরিচালিত মামলাগুলো অত্যন্ত যত্ন ও দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যসচিব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা।