টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫০মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামি এমপি রানাকে টাঙ্গাইল বিচারিক আদালতে আনা হয়। সোয়া ১১টায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার সাক্ষী সরোয়ার হোসেন ও শফিকুল হক শামীমকে সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য হাজির করেন। পরে দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা দুপুর দেড়টায় সমাপ্ত হয়।
এসময় আসামিপক্ষ টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিনের বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোটের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, মাহবুব আহম্মদ, টাঙ্গাইলের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাকী মিয়া, আরফান আলী মোল্লা।
অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম খান। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম। পরে বিচারক ১৮ অক্টোবর মামলার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
এ মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।