ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের চাঁদাবাজির মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একই সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মো. এমদাদুল হক ঢাকা সিএমএম আদালতে মানহানির অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম এএইচএম তোয়াহা শুনানি শেষে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তেজগাঁও থানাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান হাওলাদার ও আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা মামলা ও আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পত্রিকাটির প্রকাশক মাহবুবা চৌধুরী ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবেদক রুদ্র মিজান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘যুবলীগ নেতার চাঁদা দাবি, আঞ্জুমানের ভবন নির্মাণ বন্ধ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। যেখানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার লোকজন কর্তৃক বেওয়ারিশ লাশ দাফনের প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে যে চাঁদাদাবির অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
পত্রিকাটি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরোধী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা এ সংবাদটি প্রকাশ করেছেন। যা প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে বাদী, যুবলীগ এবং ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ মানহানি ঘটেছে।
‘যুবলীগ নেতার চাঁদা দাবি, আঞ্জুমানের ভবন নির্মাণ বন্ধ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম। সবার কাছে পরিচিত বেওয়ারিশ লাশ দাফনের প্রতিষ্ঠান হিসেবে। এ কাজ ছাড়াও এতিম শিশুদের লালন-পালনসহ নানা দাতব্য কাজ করে আসছে সেবামূলক এ সংস্থাটি। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দান আর অনুদানে চলে এর কার্যক্রম। অথচ মানুষের দানের সেই অর্থ থেকেই চাঁদা দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার লোকজন।
শুধু তাই নয়, চাঁদা না পাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আঞ্জুমানের নির্মাণাধীন নিজস্ব ভবনের নির্মাণকাজ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও। ঘটনার অভিযোগ পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত। এতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।