রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল ও শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা আপিল আবেদন খারিজ করে আজ বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এই আদশের ফলে হাইকোর্ট কর্তৃক বন্ধের নির্দেশ দেয়া অবৈধভাবে পরিচালিত মোহাম্মদপুরের সেই ১৪টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধই থাকবে বলে গণমাধ্যমকে জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আদালতে ওই দুই হাসপাতালের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অনুমোদন না থাকায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ১৪টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার দ্রুত বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে, লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল করেছে আদালত।
‘৫০০ মিটার ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টের রিট দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
হুমায়ুন রোড, বাবর রোড ও খিলজি রোডের অনুমোদনহীন এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হল- বিডিএম হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়েল মাল্টিস্পেশালিস্ট হসপিটাল, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল, মনমিতা মেন্টাল হসপিটাল, প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হসপিটাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েল কেয়ার হসপিটাল এবং বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজইড হসপিটাল।
পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল ও শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। আজ সেই অবেদনের শুনানি শেষে আদালত হাইকোর্টের দেয়া হাসপাতাল বন্ধের আদেশ বহাল রাখেন।