মাত্র দুই দিনে নতুন চার বিচারপতি পেল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে আদালতের চার বিচারপতির নিয়োগে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় নেয়নি সরকার। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজ হল মাত্র ৪৮ ঘণ্টায়! সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে আদালতের চার বিচারপতির নিয়োগে এটুকুই সময় নিল আইন মন্ত্রক।
আজ শনিবার (৩ নভেম্বর) ওই চার জন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে খোদ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় স্বীকার করলেন, এমন ‘ঐতিহাসিক গতি’ দেখে তিনিও বিস্মিত!
কিন্তু একই সঙ্গে আজ তিনি জানিয়েছেন, হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য কলেজিয়ামের যে সব সুপারিশ সরকারের ঘরে ফাইলবন্দি হয়ে রয়েছে, সেগুলি তিনি খতিয়ে দেখবেন। একটি অসরকারি সংস্থা জনস্বার্থ মামলা করে দাবি তুলেছিল, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের দ্বিতীয় বার সুপারিশের পরেও সরকার যে সব নাম আটকে রেখেছে, তাঁদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ দিন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভেকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, এমন কত জনের নাম আটকে রয়েছে বলে আপনার ধারণা? দাভে উত্তর দেন, ১৩ জন। প্রধান বিচারপতি গগৈ বলেন, সংখ্যাটি তিন গুণ! প্রশাসনিক দিক থেকে তিনি সক্রিয় হবেন।
বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি, বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগি আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ নিয়ে বিচারপতিদের কলেজিয়াম সুপারিশ করবে, তার পরে আইন মন্ত্রক দীর্ঘ দিন তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে, কিছু ক্ষেত্রে ফের কলেজিয়ামের কাছে নাম ফেরত পাঠাবে, এমনটাই চলে আসছে ‘রীতি’ হিসেবে। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা নিয়ে বিচারবিভাগের সঙ্গে মোদী সরকারের টানাপড়েনের স্মৃতি এখনও টাটকা। কিন্তু এই চার জনের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টাতেই ছাড়পত্র দিয়েছে মন্ত্রক।
৩১টি পদের মধ্যে এখন মাত্র ৩টি খালি। আজ প্রধান বিচারপতি জানান, ১২ নভেম্বর থেকে থেকে ১৪টি বেঞ্চ বসবে। রায়ের হিন্দি ও পরে অন্যান্য ভাষায় তর্জমার ব্যবস্থা চালু করবেন তিনি। বড় রায়ের ক্ষেত্রে এক পৃষ্ঠার সারাংশ লেখার নিয়মও চালু করবেন।