এরইমধ্যে এ ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী এ প্রতিষ্ঠানটি। চালানো হচ্ছে মাঠ অভিযান। দুদক হটলাইনে (১০৬) নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ। টিম চলে যাচ্ছে অভিযোগ আসা স্কুলগুলোতে। স্কুল কমিটিকে বাধ্য করছেন সরকার নির্ধারিত ফি নিতে।
দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, রোববার রাজধানীর এমন একটি স্কুলে অভিযানও চালিয়েছেন তারা। এসময় দুদক দেখতে পায় ১৫শ টাকার স্থলে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছিল চার হাজার টাকা করে।
তিনি বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার সালেহা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা-২০১৯ এর ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ চাওয়ায় অভিযান চালিয়েছে দুদক।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক(প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদের নির্দেশে (৪ নভেম্বর) পরিচালিত এ অভিযানে অংশ নেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ ও উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
কমিশনের অভিযান কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ এ, এ মর্মে অভিযোগ আসে এসএসসি পরীক্ষা -২০১৯ এর ফরম ফিলআপের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ১৫ টাকার পরিবর্তে সালেহা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ চার হাজার টাকা করে ফি নিচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে ওই স্কুলে অভিযান চালায় দুদক বিশেষ টিমের সদস্যরা। অভিযানকালে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে টিম সদস্যদের সামনেই স্কুল কর্তৃপক্ষ এই মর্মে নোটিশ ইস্যু করে যে, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখার ছাত্রদের ফরম পূরণ বাবদ নির্ধারিত ১৮শ ৪০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার ছাত্রদের নির্ধারিত ১৯শ ৫০ টাকা হারে ফরম পূরণের ফি জমা দিতে হবে।
প্রধান শিক্ষক দুদক টিমকে জানান, এখন থেকে কোনো অবস্থাতেই ফরমপূরণে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হবে না।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ মন্তব্য করেন, ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক।
এ জাতীয় অপরাধ যাতে সংঘটিত না হয় এ বিষয়টি কমিশন নজরদারি করছে এবং জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। অভিযোগ পেলে এসব অপরাধ প্রতিরোধে দুদক নিয়মিত অভিযান চালাবে।