সারাদেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা ‘গায়েবি’ মামলা নিয়ে রিটটির নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবারের (৫ নভেম্বর) কার্যতালিকায় মামলাটি শুনানির জন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ৯ অক্টোবর এ রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করলেও অপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রিট খারিজ করে আদেশ দেন।
এরপর নিয়ম অনুসারে রিটটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। তিনি রিটটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতির নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চ গঠনে আদেশ দেন। সে অনুসারে উক্ত একক বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি শুনানির জন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল হক টুটুল।
২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লা মিয়া এ রিট দায়ের করেন।
এ তিনজনের মধ্যে খন্দকার মাহবুব হোসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সানাউল্লা মিয়া বিএনপির আইন সম্পাদক।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।
রিট দায়েরের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে চাপে রেখে বিরোধী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা।
তিনি বলেন, এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।
রিট আবেদনে, সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে আবেদনকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।