ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত চত্বরে সোনা মিয়াকে (৬০) এক নজর দেখার জন্য মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) দুপুর থেকে অপেক্ষা করছিলেন স্ত্রী হালিমা বেগম। শেষ পর্যন্ত সোনা মিয়ার দেখা পাননি হালিমা। কারণ সোনা মিয়াকে আদালতের হাজতখানা থেকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়নি।
স্বামীর দেখা না পেয়ে সন্ধ্যার আগে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন হালিমা বেগম। হালিমার মতো আরও অনেক স্বজনদের আদালত চত্বরে কাঁদতে দেখা যায়। হালিমা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁর স্বামী চায়ের দোকানদার। কোনো রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত নন। কিন্তু লালবাগ এলাকায় চায়ের দোকান থেকে সোনা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার কাগজপত্র বলছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার লালবাগ থানায় করা মামলায় সোনা মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। লালবাগ থানা-পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, ‘ককটেল বিস্ফারণ ঘটানোর সঙ্গে এই আসামি জড়িত। আসামি বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন।’
আদালত ও পুলিশ সূত্র বলছে, ঢাকায় ৮৩টি মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৭০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মঙ্গলবার হাজির করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০১ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। বাকিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় পুলিশ বলেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত একটার দিকে মুগদার কাজী বাড়ি জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় পুলিশ সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুটি ককটেল বিস্ফারণ ঘটায়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে লিখিতভাবে বলেছেন, হয়রানি করার জন্য এসব মামলায় গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
দুপুরে আদালতে গিয়ে দেখা যায়, প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের থানা থেকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রিজন ভ্যান আদালতের সামনে আসার পর আসামিদের দেখে অনেক স্বজন কেঁদে ফেলেন। বিকেলের পর এসব আসামিকে আবার প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। সূত্র : প্রথম আলো