করসেবা প্রদান ও কর সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সারাদেশে আয়কর মেলার আয়োজন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে করমেলা শুরু হবে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে সপ্তাহব্যাপী মেলা চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। রাজধানীর মেলা হবে মিন্টো রোডের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে। এ ছাড়া সব জেলা শহরে চার দিন এবং ৩২টি উপজেলায় দুই দিন মেলা হবে। পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে ৭০টি গ্রোথ সেন্টারে এক দিন ভ্রাম্যমাণ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবছরের মত করদাতারা এবারের মেলায়ও আয়কর বিবরণীর ফরম থেকে শুরু করে কর পরিশোধের জন্য ব্যাংক বুথও পাবেন। তাঁদের জন্য মেলায় সহায়তাকেন্দ্রে অপেক্ষা করবেন কর কর্মকর্তারা। একই ছাদের নিচে সব সেবা মিলবে। করদাতা শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনলেই হবে।
২০১০ সালে প্রথমবারের মত ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়। এরপর প্রতিবছরই মেলার পরিধি বেড়েছে।
মেলার সমন্বয়কারী ও এনবিআরের সদস্য (আয়কর প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এবারের মেলার নতুনত্ব হচ্ছে অডিও-ভিডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে কর প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। করদাতারা এই দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে কর কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারবেন।
করসচেতনতা তৈরিতে এই কর শিক্ষণ পদ্ধতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন,করমেলার মাধ্যমে তরুণ ও দেশপ্রেমিক করদাতারা উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে। করমেলার সুনাম দেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। করসচেতনতা তৈরি এবং মানুষকে কর প্রদানে উদ্ধুদ্ধ করার ক্ষেত্রে করমেলা আন্তর্জাতিকভাবে রোল মডেল হিসেবে পরিগনিত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মেলায় নতুন করদাতারা ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিতে পারবেন। আবার পুনঃ নিবন্ধন করে ই-টিআইএন নিতে পারবেন পুরনো করদাতারা। এ ছাড়া ই-পেমেন্টের জন্য পৃথক বুথ থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে।
এদিকে, আগামী ১২ নভেম্বর রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সেরা করদাতাদের সম্মানিত করা হবে।