নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পরও মন্ত্রীসভার বৈঠকে দুটি আইনের খসড়ার অনুমোদনের প্রক্রিয়ার ঘটনাকে রুটিন ওয়ার্ক বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেছেন, ‘আইন পাশের বিষয়টি রুটিন ওয়ার্কের মধ্যে পড়ে’
আজ সোমবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকের পরে প্রেস ব্রিফিং করে দুই আইনের খসড়া অনুমোদনের তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
এরপর নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা এবং নির্বাচনকালীন সরকার রুটিন ওয়ার্কের বাইরে অন্য কোনও কাজ করতে পারেন কিনা জানতে চান তারা। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর থেকে যে সরকার আছে, এটিই নির্বাচনকালীন সরকার। আর আইন পাশের ব্যাপারটি এই সরকারের রুটিন ওয়ার্কের মধ্যেই পড়ে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, পদত্যাগ করা চার মন্ত্রী আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন। উনারা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে, পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হওয়া পর্যন্ত উনারা মন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন। এজন্য তারা আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন ২০১৮-এর খসড়া’র নীতিগত অনুমোদন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘অ্যাডেমডাম টু দ্যা প্রোটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’ এর খসড়ার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।