অগ্রণী ব্যাংকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের) শূন্য পদে সিনিয়র অফিসার (বিশেষ) নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আপিল আবেদনকারীদের জন্য ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদ সংরক্ষণের জন্যও বলা হয়েছে।
আপিল আবেদনের শুনানির জন্য ২০১৯ সালের ৬ মার্চ দিন ঠিক করেছেন আদালত। এর মধ্যে (লিভ টু আপিল) নিয়মিত আপিল আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১২ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু, এএম আমিন উদ্দিন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
তবে ব্যাংকের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন শেখ মো. জাকির হোসেন।
জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংক লি. শূন্য পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সিনিয়র অফিসার পদে (বিশেষ) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বছরের ৮ মে অংশগ্রহণকারীর চেয়ে প্রশ্নপত্র কম থাকায় পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে একই বছরের জুলাই মাসের ৩ তারিখ ছয় হাজার প্রার্থীর অংশগ্রহণে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৮৪ জন উত্তীর্ণ হন। যাচাই-বাছাই করে ১ হাজার ১৫৮ জনকে মৌখিক পরীক্ষায় মনোনীত করা হয়। একই বছরের ২২ মে থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ২৬ জনের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ৬৫৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে শান্ত চন্দ্র চক্রবর্তীসহ ৫২ জন হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে বলা হয়, তাদের দাবি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়ার পরও তাদের বাদ দিয়ে নাতি-নাতনিদের নির্বাচিত করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। কিন্তু রুল শুনানির পর ৬ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে রিট আবেদনকারীরা মামলা চালাবে না বলে অন্য এক আইনজীবীর তথ্যে হাইকোর্ট নিয়োগের ওপর স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করে নেন।
তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে এ আদেশ জানার পর আবেদনকারীরা আদেশ সংশোধনে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদন খারিজ হওয়ার পর আপিল বিভাগে আবেদন করেন তারা। আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী ফের হাইকোর্টে শুনানি হয়। ওই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা আবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
এর পর আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। রুল শুনানি শেষে এই আবেদন খারিজ করা হয় বলেও জানান তিনি।