ভুয়া করদাতা সাজিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে খুলনা আয়কর বিভাগের আয়কর উপদেষ্টা মো. শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ছয় মাসের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব মামলাটি বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আদালত।
এ সংক্রান্ত পূর্বের জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে বিচারিক আদালতে চলমান এই আয়কর উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তবে এ সময় শহীদুল আলমের পক্ষে কোনও আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, খুলনা আয়কর বিভাগের আয়কর উপদেষ্টা মো. শহীদুল আলম অসৎ উদ্দেশ্যে আয়কর নথি থেকে প্রকৃত করদাতার নাম অজ্ঞাত রেখে ভুয়া ওকালতনামার মাধ্যমে খুলনার তুলাপট্টির মেসার্স জহুরুল হককে খুলনার করদাতা প্রতিনিধি সাজিয়ে করদাতার পক্ষে কাগজপত্র দাখিল, নোটিশ গ্রহণ ও রিফান্ড ভাউচার মিলিয়ে মোট ৭ লাখ ১১ হাজার ৫৭৯ টাকা গ্রহণ করেন।
তবে পরবর্তীতে মো. নাজির হোসেন নামে এক ভুয়া ব্যক্তিকে জহুরুল হক সাজিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের খুলনা নিউ মার্কেট শাখা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে চলতি হিসাব ও অন্যান্য হিসাব থেকে টাকা আত্মসাৎ করেন।
পরে বিষয়টি তদন্ত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা আবদুল্লা আল জাহিদ। তদন্ত শেষে মো. শহীদুল আলমসহ তিন জনকে আসামি করে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় ২০০১ সালের ৩ আগস্ট মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করলে মো. শহীদল আলম হাইকোর্টে রিভিশন মামলা (মামলা বাতিল চেয়ে) দায়ের করেন।
সেই রিভিশন আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট মো. শহীদুল আলমে মামলার বাতিল বিষয়ে ছয় মাসের জন্য রুল জারি করেন। এর দীর্ঘদিন পর রুলের শুনানি শেষে বুধবার আবেদনটি খারিজ করে দেন আদালত।