আইন অনুযায়ী দেশের পতিতালয় বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যৌন কর্মীদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ওমর শরীফ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।
পরে ওমর শরীফ জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক পতিতালয় রয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরুণী, বিধবাদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কিছু অসাধু ব্যক্তি মানব পাচার করছে। এ নিয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরে ওইসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে পতিতালয় উচ্ছেদ এবং যৌন কর্মীদের পুনর্বাসনের নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী সোহেল ইসলাম খান এবং শফিকুল কাজল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৫ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চাকরির কথা বলে দুই কিশোরীকে পতিতালয়ে বিক্রি, অতঃপর..’ ও গত ২৩ জুন আরেকটি জাতীয় দৈনিকে ‘কিশোরীকে পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টা, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।