জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি জানিয়েছিল নির্বাচন আরো একমাস পেছানোর। নির্বাচন কমিশন তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ৩০ ডিসেম্বরের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ফলাফলে গেজেট প্রকাশ, উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো কর্মযজ্ঞ রয়েছে। এছাড়া বিশ্ব ইজতেমা হবে জানুয়ারিতে। সেখানে ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষের সমাগম হবে। মোতায়েন থাকবে লক্ষাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই ৩০ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমার বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো। বাইরের পর্যবেক্ষদের আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ আমাদের থাকে।
‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অন্যের সিদ্ধান্ত কখনো গ্রহণ করেনি। রাজনৈতিক দলগুলো স্টেকহোল্ডার হিসেবে পরামর্শ দেয়।’
দলগুলোর জোটগত অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে কাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করবে তা জানিয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও জানিয়েছে। এক্ষেত্রে আইনে যেভাবে আছে, সেভাবে তারা প্রতীক পাবে। আর অনিবন্ধিত দল যেগগুলো আছে, তাদের যে দল প্রতীক দেবে সে অনুযায়ী ভোটে অংশ নেবে।
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি সেনাবাহিনী ভোটের ১০ দিন আগে কিংবা দু’দিন আগে মোতায়েন করা হবে। এক্ষেত্রে তাদের থাকার ব্যবস্থার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। তবে সেনাবাহিনী কখন, কীভাবে মোতায়েন হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
পুনঃতফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর আর প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর।