আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী তালিকায় অনুমতি ছাড়া নাম দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে দলটির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে উকিল (আইনি) নোটিশ পাঠিয়েছেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল বশর মজুমদার।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ তার পক্ষে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ের ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশে খায়রুল আলম বশর মজুমদার নাগরিক ঐক্যের কর্মী বা সমর্থক নন উল্লেখ করে তার নাম প্রার্থী হিসেবে বেআইনিভাবে ঘোষণা করায় এ নোটিশ পাঠানো হয়। এতে তার রাজনৈতিক, সামাজিক সুনাম, খ্যাতি ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে ওই উকিল নোটিশে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে জবাব না মিললে মানহানির মামলা করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এ নোটিশে।
খায়রুল বশর মজুমদার ২০১৪ সালের নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাসদের (ইনু) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতারকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সম্প্রতি ৩৫টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে নাগরিক ঐক্য। সে তালিকায় খায়রুল বশর মজুমদারের নাম দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল বশর গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি নাগরিক ঐক্যে যোগ দেননি। এমনকি এর আহ্বায়ক বা দায়িত্বশীল কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি, কখনও দেখা হয়নি। তার সঙ্গে আলোচনা না করেই তাকে প্রার্থী করা হয়েছে। এতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে, খায়রুল বশরের বক্তব্য সঠিক নয় বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ঐ ভদ্রলোকের (খায়রুল বশর) সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, কথাও হয়েছিল। তবে, যেহেতু বিষয়টি আইনি, উকিল নোটিশটি দেখে পরে আইনগতভাবেই এ নিয়ে কথা বলবো।