দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসক নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হওয়ার রায়ই ঠিক থাকলো। আপিল বিভাগের এ রায়ের ফলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তিনি আর অংশ নিতে পারবেন না।
দুর্নীতির অভিযোগে প্রাপ্ত সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেনটেন্স) স্থগিত চেয়ে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন গতকাল (মঙ্গলবার) খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে গতকালই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আজ বুধবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৭ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও খায়রুল আলম চৌধুরী। এছাড়া দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) দুর্নীতির অভিযোগে প্রাপ্ত সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেনটেন্স) স্থগিত চেয়ে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানসহ পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই আদেশের ফলে এ পাঁচ নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, যদি আপিল বিভাগে সাজা স্থগিত না করা হয়, তাহলে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কারোরই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে আপিল বিভাগই তাদের একমাত্র ভরসা ছিল।
বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসক নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন।