দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের ওপর আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
উভয়পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের ওপর শুনানি করতে সময় আবেদন করেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানি করবেন বলে আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৮ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ায় বর্তমানে দু’টি সংসদ বহাল রয়েছে। যা সংবিধান পরিপন্থী।
কিন্তু সে নোটিশের কোনও জবাব না পাওয়ায় ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এ রিট দায়ের করেন। এরপর ১৬ জানুয়ারি রিটটির ওপর শুনানি শেষ হলে গত ১৭ জানুয়ারি আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।
তবে আদেশের দিন রিট আবেদনকারী উপযুক্ত পক্ষ না হওয়ায় আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করিয়ে নেন রিটকারীর আইনজীবীরা। এরপর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নতুন করে একই গ্রাইন্ডে রিট দায়ের করেন।