আরব উপসাগরীয় দেশ আমিরাতের আদালতে এখন থেকে আইনি কাজকর্ম হিন্দিতেও করা যাবে বলে জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে দুই-তৃতীয়াংশ বিদেশি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আদালতে ব্যবহারের তৃতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে এতদিন আরবি ছাড়া ইংরেজিতেও আইনি প্রক্রিয়া চলত।
আরব আমিরাতে জনসংখ্যা ৫০ লাখের কাছাকাছি। এর মধ্যে প্রায় ২৬ লাখ হিন্দিভাষী মানুষের বাস। এসব অভিবাসীদের আরবি ও ইংরেজিতে তেমন দখল নেই। যে কারণে আইনি ভাষা বুঝতে তারা সমস্যায় পড়েন। তাদের কথা ভেবেই এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার দেশটির বিচার বিভাগ জানায়, হিন্দিকে স্বীকৃতি দেওয়ায় বিদেশি শ্রমিকরা সবচেয়ে উপকৃত হবেন। আরবি ও হিন্দিতে না জানলেও সমস্যা নেই। হিন্দিতে নিজেদের দাবি-দাওয়া লিখিতভাবে আদালতে জানাতে পারবেন তারা। এছাড়া বয়ানও দেওয়া যাবে হিন্দিতে।
এছাড়া পিটিশনও জমা দেওয়া যাবে এ ভাষায়। আদালতে ব্যবহৃত নানা ধরনের আবেদনপত্রও হিন্দিতে ছাপানো হবে বলে জানায় বিচার বিভাগ।
বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটেরও একটি হিন্দি সংস্করণ আনা হচ্ছে। তাতে জটিল আইনি ভাষাগুলি হিন্দিতে অনুবাদ করা থাকবে। যাতে প্রয়োজন মতো সেখানকার আইন-কানুন রপ্ত করে নিতে পারেন বিদেশি নাগরিকরা। মামলা সংক্রান্ত ফাইলপত্র এবং আদালতের রায়েরও হিন্দি কপি হাতে পাবেন তাঁরা।
আরব আমিরাতে বিচার বিভাগের চেয়ারম্যান শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ান তিনি আবার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীও। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি উপদেষ্টা সংক্রান্ত দফতরেরও প্রধান।
বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে, তার নির্দেশেই হিন্দিকে আদালতে তৃতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচার বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ইউসুফ সাঈদ আল আবরি।