মাদকসংক্রান্ত মামলায় নিরপরাধ কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকে সতকর্তার সঙ্গে খেয়াল রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট।
মাদক মামলায় পুলিশের হয়রানির শিকার এক বিদেশি নাগরিকসহ চারজনের জামিনের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
একইসঙ্গে ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে বিদেশি নাগরিককে পুলিশের হয়রানির ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন আদালত। এছাড়া চার আসামির মামলার বাদীর বিষয়ে আদেশ দেন আদালত।
সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।
হাইকোর্ট বলেন, একজন সমাজসেবক যিনি দেশসেবায় নিয়োজিত হয়ে একটি হাসপাতাল করতে পারেন তিনি কখনও ইয়াবার সঙ্গে জড়িত হতে পারেন না। দেশসেবায় উদ্ধুদ্ধ বিদেশি নাগরিক মাদকব্যবসায় জড়িত হতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
রায়ে হাইকোর্ট দেশে যত অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে সকল মামলায় চার্জশিট এক মাসের মধ্যে দিতে বলেছেন। অন্যদিকে মাদক মামলার তদন্ত ও তদারকির জন্য সেল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নরওয়ের এক নাগরিকসহ কয়েকজনকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় গাজীপুরের এসআই আব্দুল হালিমকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এসআই আব্দুল হালিমকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।