মামলা জমে জমে পাহাড়। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে জমে থাকা মামলার সংখ্যা দু’লক্ষ ৩২ হাজারেরও বেশি। এই অবস্থায় মঙ্গলবার নতুন পাঁচ জন বিচারপতি শপথ নিলেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার তাঁর এজলাসে ওই পাঁচ জনকে শপথবাক্য পাঠ করান। এই নিয়ে হাইকোর্টে বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হল ৪১।
এ দিন যাঁরা শপথ নিলেন, তাঁরা হলেন মহম্মদ নিজামুদ্দিন, তীর্থঙ্কর ঘোষ, সৌগত ভট্টাচার্য, হিরণ্ময় ভট্টাচার্য এবং মনোজিৎ মণ্ডল।
কলকাতা হাইকোর্টে ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। আরও বিচারপতির দাবিতে আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন টানা কর্মবিরতিও করেছে। এ দিন শপথের পরে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উত্তম মজুমদার জানান, পর্যাপ্ত বিচারপতি নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্ট এবং সংশ্লিষ্ট সব দফতরে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও আর্জি জানাবেন তাঁরা।
উত্তম মজুমদার আরও জানান, কাগজেকলমে হাইকোর্টে এখন ৪১ জন বিচারপতি রয়েছেন ঠিকই। কিন্তু আন্দামান সার্কিট বেঞ্চের পরে ১১ মার্চ থেকে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ চালু হতে চলেছে। ওই দুই সার্কিট বেঞ্চে ছয় বিচারপতিকে (আন্দামানে দু’জন, জলপাইগুড়িতে চার জন) নিয়মিত ভাবে কাজ করতে যেতে হবে। সে-ক্ষেত্রে হাইকোর্টে থাকছেন ৩৫ জন বিচারপতি। তাই অবিলম্বে আরও বিচারপতি নিয়োগের প্রয়োজন বলে মনে করে বার অ্যাসোসিয়েশন।
হাইকোর্টের কৌঁসুলিদের একাংশ মনে করেন, আইনজীবী থেকে বিচারপতি-পদে উত্তরণের পদ্ধতিতেও (বয়সের মাপকাঠি, বার্ষিক আয় ইত্যাদি) সংশোধনী আনা উচিত। সংশোধনী আনা হলে এখনকার তরুণ প্রজন্মের আইনজীবীদের মধ্য থেকে দক্ষ বিচারপতি বাছাই করা সহজ হবে। বিচারপতির সংখ্যাও বাড়বে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা