নিয়ম অনুযায়ী প্রটোকল না দিয়ে এক বিচারপতিকে অসম্মান করার দায়ে ফেনীর সাবেক জেলা জজ ফিরোজ আলমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
আজ বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একই ঘটনায় ফেনী জেলা জজ আদালতের নাজির ও নায়েবে নাজিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ঢাকার বাইরে গেলে সংশ্লিষ্ট জেলা ও দায়রা জজ কীভাবে তাদের প্রটোকল দেবেন, সে ব্যাপারে চারটি নির্দেশনাসহ সার্কুলার ইস্যুর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস ও আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, ফেনীর সাবেক জেলা জজের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে ফিরোজ আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফয়সাল এস খান ও মইনুদ্দীন। অপর দুজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মিনহাজুল হক চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে অক্টোবরে তৎকালীন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম ফেনী যান। বিষয়টি অবিহিত করার পরও ফেনীর জাজশিপ থেকে কোনো প্রতিনিধি আসেনি বা যোগাযোগও করেননি। এরপর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর হাইকোর্ট ফেনীর জেলা জজ মো. ফিরোজ আলমসহ তিনজনের প্রতি আদালত অবমাননার রুল দেন। এর বিরুদ্ধে ফিরোজ আলম আপিলে আবেদন করেন, যা ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি খারিজ হয়। আদালত অবমাননার রুলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ রায় দেন। অপর দুজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।