সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যদি কোনো জেলা পরিদর্শন বা ভ্রমণে যান, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা আদালত ও জেলার অন্য কর্মকর্তারা কী ধরনের প্রটোকলব্যবস্থা দেবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট চার দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর সাবেক জেলা জজ ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সব নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনায় আদালত বলেন, বিচারপতি পৌঁছানোর পর বা তাঁর অবস্থানস্থলে জেলা জজ অথবা অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তা থাকতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে গেলে সে ক্ষেত্রেও আদালতের জাজিং চার্জ নেজারত বা আদালতের স্টাফ থাকতে হবে। ফেরার সময়ও জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ তাঁকে বিদায় জানাবেন।
একইসঙ্গে, এই নির্দেশনাগুলো সার্কুলার আকারে জারি করতে রেজিস্ট্রার জেনারেল ও আইনসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে অক্টোবরে তৎকালীন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম ফেনী যান। বিষয়টি অবিহিত করার পরও ফেনীর জাজশিপ থেকে কোনো প্রতিনিধি আসেনি বা যোগাযোগও করেননি। এরপর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর হাইকোর্ট ফেনীর জেলা জজ মো. ফিরোজ আলমসহ তিনজনের প্রতি আদালত অবমাননার রুল দেন। এর বিরুদ্ধে ফিরোজ আলম আপিলে আবেদন করেন, যা ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি খারিজ হয়। আদালত অবমাননার রুলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ রায় দেন। অপর দুজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।