হাইকোর্টে নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের করা আপিল তাড়াতাড়ি শুনানির জন্য চেষ্টা করবেন জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ওদের রাজনৈতিক দল হিসেবে যে স্বীকৃতি ছিল সেটা বাতিল হয়ে গেছে হাইকোর্টে রায়ে। এ ব্যাপারে আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন। প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে বলেছেন, বিচারাধীন মামলার ব্যাপারে তো কোনো নির্বাহী আদেশ দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করবো এটা তাড়াতাড়ি শুনানি করার জন্য।
আজ রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার প্রধান উদ্দেশ্য কী, ক্ষমতায় যাওয়া। ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচেন অংশগ্রহণ করতে হবে। যদি তার (রাজনৈতিক দলেন) লাইসেন্সই না থাকে তাহলে তিনি কীভাবে নির্বাচন করবেন? আর যারা নাকি নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া রাজনীতি করতে চায়, সেগুলোতো আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি।
‘সে সব রাজনীতিতো আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ অ্যাকসেপ্ট করে না। তাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রেরও বাধ্যবাধকতা নেই। কাজেই বাস্তবতা হলো, রাজনীতি করতে হলে ইলেকশন কমিশন থেকে একটি অনুমতি থাকতে হবে, লাইসেন্স থাকতে হবে। সেই লাইসেন্সটাই বাতিলের জন্য মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আমরা আশা করি তাড়াতাড়ি এটার শুনানির ব্যবস্থা নিতে পারবো।
জামায়াত থেকে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, এটাতো আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল বলেই দিয়েছেন। তারা ক্ষমা চান বা না চান তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচার অব্যাহত থাকবে, ভবিষ্যতেও চলবে। আর এই মুহূর্তে তারাতো মাফ না চাইলে অবস্থা দিনের পর দিন আরো খারাপ হবে। এটা হয়তো তারা বুঝতে পেরেছেন।
এছাড়া নতুন নামে জামায়াত রাজনীতি শুরুর বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, হিটলারতো নেই। কিন্তু হিটলারের ভাবাদর্শ নিয়ে যদি কোনো রাজনীতি শুরু হয়, সেটা কি বুঝতে জার্মান পিপলদের অসুবিধা হবে? জামায়াতের ক্ষেত্রেও একইভাবে বলবো, কেউ যদি জামায়াতি ভাবধারায় রাজনীতি শুরু করতে চায় সেটা কি সাধারণ জনগণ বুঝবে না?
নিবন্ধন ছাড়া রাজনীতির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে বলেন, নিষিদ্ধ যেগুলো করা হয়, সেগুলোর নির্দিষ্ট কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে বা জাতীয় আদর্শের সঙ্গে যদি নানা রকম উল্টো ভূমিকা নিলে সে ক্ষেত্রে। আর নিবন্ধন ছাড়া বাস্তবভাবে আমাদের দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এটা করা সম্ভব না।
আরেক প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নিবন্ধন যদি বাতিল হয়ে যায় আমার মতে, আপনা-আপনি দল বাতিল হয়ে যাবে, রাজনীতি আর করতে পারবে না।