টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে বিদ্যমান ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধিত ২০১০)’ অধিকতর যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ইতোমধ্যে পুরনো আইনটি যুগোপযোগী করে সংশোধিত আকারে আইনের খসড়া প্রণয়ণের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম)-কে সভাপতি করে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করে সম্প্রতি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। কমিটিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধিকেও রাখা হয়েছে।
আইন যুগোপযোগী করার উদ্যোগের বিষয়ে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সরকারকে ভালোর জন্য প্রস্তাব দেবো।
কমিশনের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. জাকির হোসেন খান বলেন, আইন সংশোধন সময় উপযোগী সঠিক একটি সিদ্ধান্ত বলে কমিশন মনে করে। টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য এখন সুদূর প্রসারী উদ্ভাবনী চিন্তা আবশ্যক। আশা করছি, এ পদক্ষেপের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ আরো সুগম হবে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, গঠিত কমিটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধিত ২০১০) অধিকতর যুগোপযোগী করার জন্য আইনের খসড়া প্রদানপূর্বক সরকারের কাছে পেশ করবে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি জারি করা আদেশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে খসড়া তৈরি করতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরনো টেলিযোগাযোগ আইন দিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকবেলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হলে টেলিকম খাত আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উপনীত হতে পারবে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- বিটিআরসির কমিশনার (এলএল), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন), টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড এবং টেলিফোন শিল্প সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকও কমিটিতে রয়েছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিব (টেলিকম) পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা কমিটিতে সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটি প্রয়োজনে অন্য কারো পরামর্শ গ্রহণ এবং অন্যকাউকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলে কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে।