আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সমগ্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পর্যায়ক্রমে ই-জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের সলিসিটর ভবনে ই-ফাইলিং সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, প্রযুক্তির যেমন ব্যাপক প্রসার ঘটছে তেমনি অপরাধও হচ্ছে। এ অপরাধ মোকাবিলায় প্রয়োজন হয় কঠোর আইনের। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে আইনমন্ত্রণালয়, সলিসিটর আজ সংযুক্ত হলো। এই প্রযুক্তির সঙ্গে যদি আমরা সংযুক্ত না হতাম তাহলে কিন্তু পিছিয়ে থাকতাম। পিছিয়ে থাকলে বিচার প্রার্থীদের কাছে দ্রুত বিচার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হতো না। সুষ্ঠু বিচার যদি আমরা পৌঁছে দিতে না পারি, তাহলে সেটা হবে বিচার বিভাগের ব্যর্থতা। আর এতে জনগণ বিচার বিভাগের কাছে আসবে না।
আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের ওপর ন্যায় বিচার নির্ভর করে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ই-জুডিশিয়ারির একটা ধাপ ‘ই-ফাইলিং’ চালু হয়েছে।
তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পর্যায়ক্রমে ই-জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। তবে এই প্রযুক্তির কিছু বিড়ম্বনাও আছে। সে কারণে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে এগুতে হবে। যেমন হ্যাকিং। এ সব সাইবার ক্রাইম মোকাবেলা করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে।
আগামী এক মাসের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সলিসিটর অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও আইনমন্ত্রী জানান। এর আগে তিনি ই-ফাইলিং পদ্ধতি উদ্বোধন করেন।
আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন- অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সলিসিটর জেসমিন আরা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।