বিচারপতি সুদীপরঞ্জন সেনের একটি রায়ের কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি ওঠায় মেঘালয় হাইকোর্টের রেজিস্ট্রিকে নোটিস পাঠিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি সেন একটি মামলার রায়ে এই মত প্রকাশ করেছেন যে, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময়েই ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত ছিল। এই মন্তব্য আইনের চোখে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ও ইতিহাসের দিক দিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিযোগ এনেছেন সোনা খান এবং কয়েক জন। তাঁদের দাবি, এটি দেশের বর্তমান নাগরিকত্ব আইনের লঙ্ঘন। রায়ের ওই অংশ মুছে ফেলতে হবে।
এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মেঘালয় হাইকোর্টের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে।
সোনা খানেরা আগেও এই রায় নিয়ে আপত্তি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। দাবি করেন, রায়ের ওই ‘বিতর্কিত অংশ’ বাদ দিয়ে বিচারপতি সেনকে বিচারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। আর্জিটি বিচারের জন্য গ্রহণ না-করে আবেদনের ভাষা সংশোধনের পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
বিতর্কিত রায়ে বিচারপতি সেন লিখেছেন, ‘‘…পাকিস্তান নিজেকে মুসলিম রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল। ভারত যেহেতু ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল, তাই তখনই একে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত ছিল। কিন্তু ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়।’’
তিনি লিখেছেন, ‘‘আজও পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সি, খাসি, জয়ন্তীয়া ও গারোদের নির্যাতন করা হয়। দেশ ভাগের সময়ে যে হিন্দুরা ভারতে এসেছিলেন, আজও তাঁদের বিদেশি মনে করা হয়। এটা অযৌক্তিক, অবৈধ এবং স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।’’