ইপিজেড শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা ও ইপিজেড শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম বিল,২০১৯’ পাস হয়েছে। বিলটিতে মালিক শ্রমিকের সাথে কোনো অন্যায় আচরণ করলে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সংঘটিত সকল অপরাধ জামিনযোগ্য। এছাড়া এই আইনের অধীনে কোনো শ্রমিক বেআইনি ধর্মঘট আরম্ভ করলে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনে দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে ইপিজেড শ্রম আদালত ব্যতীত অন্য কোনো আদালত কর্তৃক বিচারর্য হবে না। শ্রম আদালতের বাইরে ইপিজেড শ্রমিকদের বিষয়টি এই আইনের অধীনে পরিচালিত হবে এবং আলাদা ইজিজেড শ্রম আদালত ও ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ইপিজেড শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়নের আদলে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশনের বিধান রয়েছে। বিলের ১৩৩ থেকে ১৩৬ ধারায় ইপিজেড শ্রম আদালত ও ইপিজেড শ্রম আপিল টাইব্যুনাল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বিলের ৯৪ ধারায় শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে- ইপিজেডস্থ বা জোনস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরি হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিতকারণে শ্রমিকদের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্কবিষয়ক বিদ্যমান আইন রহিত করে তা পুনঃপ্রণয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।