বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন ২০১৯-২০২০ এর সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ আবদুন নূর দুলাল। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হলে আইনজীবী ও সমিতির উন্নয়নে কি কি পরিকল্পনা আছে সেসব বিষয়ে জানতে তার মুখোমুখি হয়েছিল ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল –
আপনি নির্বাচিত হলে বারের সদস্যদের জন্য বিশেষ কি উদ্যোগ নিবেন?
আবদুন নূর দুলাল: কোর্ট এলাকার আশেপাশে বিশেষ করে মৎস্য ভবন, মাজার গেট এবং প্রেসক্লাব এসব এলাকায় আইনজীবীদের যাতায়াতে সমস্যা হয়। অনেক সময় আইনজীবীরা রিকশা পান না। ফলে একধনের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। ইনশাল্লাহ, নির্বাচিত হলে ৪ টি মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করা হবে। মাইক্রোগুলি বার ভবন থেকে চক্রাকারে মৎস্য ভবন হয়ে প্রেসক্লাব হয়ে মাজার গেট দিয়ে বার ভবনে আসবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবিরাম চলতে থাকবে। মৎস্য ভবন, মাজার গেট এবং প্রেসক্লাব থেকে সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্যরা মাইক্রোতে করে বারে আসবে আবার বার থেকে মাইক্রোতে করে মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব এবং মাজার গেটে নামবে।
বার ও বেঞ্চের মধ্য বেশ দূরত্ব আছে বলে আইনজীবীদের মধ্যে এক ধরণের ক্ষোভ দেখা যায়, এই দূরত্ব কমাতে আপনার কোন পরিকল্পনা আছে কি?
আবদুন নূর দুলাল: আমি মনে করি বার এবং বেঞ্চের সম্পর্ক হবে রাজায় রাজায় সম্পর্ক। রাজায় প্রজায় নয়। বিজ্ঞ আইনজীবীগণ সম্মান করবেন মাননীয় বিচারপতিদের। একই সাথে মাননীয় বিচারপতিগণ সম্মান করবেন বিজ্ঞ আইনজীবীদের। ইনশাল্লাহ, আমি সম্পাদক নির্বাচিত হলে এই বিষয়ে সচেষ্ট থাকবো।
আপনার দৃষ্টিতে আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের সম্মান, মর্যাদায় কোন ধরণের বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়েছে কি?
আবদুন নূর দুলাল: কিছু বৈষম্য তো আছেই। যেমন ধরুন, সুপ্রীমকোর্ট দিবসে কেবলমাত্র আপীল বিভাগের আইনজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়না। এটি একটি অপমানজনক বৈষম্য। কেননা আপীল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ মিলিয়েই সুপ্রীমকোর্ট। কিন্তু স্থানের সীমাবদ্ধতার কারনে সুপ্রীমকোর্টের পক্ষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো সম্ভবও নয়।
আমি যদি সম্পাদক নির্বাচিত হই, সুপ্রীমকোর্ট দিবস বার এবং বেঞ্চের যৌথ উদ্যোগে বড় পরিসরে করার পদক্ষেপ নিব। উভয় বিভাগের আইনজীবীগণ সেখানে আমন্ত্রণ পাবেন। যদি বেঞ্চ বারের সাথে একত্রে করতে না চায়, তবে বার আলাদা করে উভয় বিভাগের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে সুপ্রীমকোর্ট দিবস পালন করবে। যাতে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের সম্মান রক্ষা হয় এবং অসম্মানজনক বৈষম্য থেকে রেহাই পান। ইনশাল্লাহ, আমি সম্পাদক নির্বাচিত হলে এই বিষয়ে সচেষ্ট থাকবো।
ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
আবদুন নূর দুলাল: ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকেও ধন্যবাদ।