ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের লিফট ছিঁড়ে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তিনজনের অবস্থা গুরুতর। এদের মধ্যে ৫ জন আইনজীবী এবং বাকিরা আদালতের কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থী। পুলিশ জানায়, প্রায় অর্ধ শতকের পুরনো এই লিফটি ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে অন্যদিনের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের লিফটে ওঠানামা চলছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিকট শব্দে হঠাৎ ছিঁড়ে পড়ে লিফটি। ভেতরে আটকা পড়া মানুষের চিৎকারে দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই লিফটি ব্যবহারের অনুপযোগী বলে দাবি তাদের।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, দু’জন নারী অ্যাডভোকেট ছিলেন। কোর্টের স্টাফ একজন। দু’জন মক্কেল এছাড়া আরো ৪-৫ ছিলেন।
কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জানালেন, লিফটি প্রায় ৪০ বছরের পুরনো। ধারণক্ষমতা ৮ জন হলেও লিফটে উঠেছিলেন ১২ জন। ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জনকে এবং পঙ্গু হাসপাতালে ৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন আইনজীবী, বাকিরা আদালতের কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থী। এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
দুর্ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
ঢাকা মহানগর দায়রা ও জেলা জজ আদালতের লিফট ছিঁড়ে পড়া নিয়ে আইনজীবী ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি বলছেন, দায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আর সাধারণ সম্পাদক দোষ চাপাচ্ছেন সমিতির ওপর।
এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান বলেন, লিফট দুর্ঘটনার দায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। বার বার বলার পরও তারা লিফটি ঠিক করেনি। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, আজকের লিফট দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পাড়ে না ঢাকা আইনজীবী সমিতি। অনেক আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ এই লিফটি মেরামত করা উচিত ছিল।
এদিকে, লিফট দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আইন মন্ত্রণালয়।