একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার দুই জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। এ মামলার রায় যে কোনো দিন ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় আসামি ছিল তিন জন। তারা হলেন- শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার হেদায়েত উল্লাহ ওরফে মো. হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০), রাজাকার এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০), রাজাকার সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী (৮৮)। তাদের মধ্যে আঞ্জু-মঞ্জু দুই ভাই।
তিনজনের মধ্যে মঞ্জু ও ছোরাপ আলী আটক ছিলেন। পরে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু।
তিনজনের বাড়িই নেত্রকোনার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। তবে আঞ্জু থাকেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার হেতেম খাঁ মেথর পাড়ায়। অপরদিকে ছোরাপের বসবাস করতেন একই জেলার মদন থানার জাহাঙ্গীরপুরে। এর আগে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।
৪০ জনের সাক্ষ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা এবং দেশত্যাগে বাধ্যকরণের মতো অপরাধের সন্ধান পাওয়া গেছে। নেত্রকোনার আটপাড়া থানার মধুয়াখারী, মোবারকপুর ও সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে তারা এসব অপরাধ সংগঠন করেন। যার ভিত্তিতে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে।