একটানা ১১ বার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম শহীদ।
গত ৬ মার্চ (বুধবার) ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহীদুল আলম শহীদ ২০৮ ভোটের বিশাল ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে পুনরায় নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সমমনা আইনজীবীদের প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শহীদুল আলম শহীদ পান ৩৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট প্যানেল থেকে এ এম সাজ্জাদুল হক পান ১৪০ ভোট।
জানা গেছে, শহীদুল আলম শহীদ ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। বছর শেষে নির্বাচন মানেই তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। কখনো কারো প্যানেলে, কখনো বা স্বতন্ত্র। ২০০৯ সাল থেকে সবকটি নির্বাচনে বিপুল ভোটে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা বলছেন, সদস্যদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলা, অমায়িক ব্যবহার এবং সহজ-সরল জীবনযাপন তাকে আইনজীবী সমিতিতে খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করতে সহযোগিতা করেছে। বার বার নির্বাচন করতে করতে বর্তমানে বিষয়টি এমন পর্যায়ে দাড়িয়েছে যে, তিনি নির্বাচন করা মানেই অন্য কেউ জয়ী হতে পারবেন না। শুধু নিয়ম রক্ষার জন্যই প্রতি বছর কেউ কেউ সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন।
১১ বার বিজয়ী শহীদুল আলম শহীদ চারবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী হিসেবে এবং বাকি সাতবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। দেশের অন্য কোনো জেলা আইনজীবী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে টানা ১১ বার নির্বাচিত হওয়ার এ রকম কোনো নজির আর নেই বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে জেলা আইনজীবী সমিতির বার বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম শহীদ বলেন, মানুষের ভালোবাসা আছে। আইনজীবীরা আমাকে ভালোবাসে বলেই বার বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন। যতদিন তারা চাইবেন ততদিনই এ পদে নির্বাচন করব।