পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর নামে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় ঐতিহ্যবাহী বাসভবন (উত্তরা গণভবন) নাটোরের মুলনকশার পরিবর্তন করে নতুন স্থাপনা নির্মাণ উদ্যোগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।
নাটোরের অধিবাসী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার (১০ মার্চ) এ রিট দায়ের করেন।
আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুল জানান, আজ (সোমবার) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে উত্তরা গণভবনের ঐতিহ্য রক্ষায় নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি গণভবনের ভেতর ও বাইরে টাঙানো এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড অপসারণ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রিটে উত্তরা গণভবনকে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
রিটে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক, নাটোরের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘উত্তরা গণভবন : ঐতিহ্যে কুঠারাঘাত’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এই রিট আবেদন দায়ের করা হয়।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহ্যবাহী প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন নাটোরের উত্তরা গণভবনকে আরও বেশি পর্যটক আকর্ষণীয় করার নামে ভেতর ও বাইরে নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা।
এর মধ্যে গণভবনের ভেতরে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি থ্রিডি সিনেপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্নিষ্ট প্রকল্পটি পাস না হলেও রাজশাহীর এক ব্যক্তিকে আংশিক কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড গণভবনের ভেতর ও বাইরে টাঙানো হয়েছে।