হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী, দর্শনার্থীসহ অন্যদের মশার উৎপাত থেকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
‘শাহজালাল বিমানবন্দর: মশার পরান বধিবে কে?’ শিরোনামে ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে এবং ‘ছেঁকে ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা’ শিরোনামে ২৫ ফেব্রুয়ারি একই পত্রিকায় পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবসহ চার ব্যক্তির বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠালেও এর জবাব না পেয়ে ৩ মার্চ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। রিটের ওপর গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রাথমিক শুনানি হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
তানভীর আহমেদ বলেন, বিমান ও পর্যটনসচিব, বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর-সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে ৫০ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। এদের মধ্যে ৪০ লাখই আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করেন। মশার কামড়েই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বর হয়ে থাকে। এমনকি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বরে প্রাণহানিও হয়। সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা রাষ্ট্রের অন্যতম কর্তব্য। অথচ কর্তৃপক্ষের মশা নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা সমর্থনযোগ্য নয়। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।