আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে শহিদুল আলমের রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রমনা থানায় দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর একই বছরের ১২ আগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
শহিদুল আলমের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে জনসাধারণকে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।
রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার জামিন বিষয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী এই রায় দেন।