খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করল হাইকোর্ট

এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই আবেদনে খালেদা জিয়ার জামিনও চাওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার আইনজীবীরা প্রায় দুইশ পৃষ্ঠার এ আপিল দায়ের করেন।

সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, ‘আপিলে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের শুনানির সুযোগ না দিয়ে হাইকোর্ট এক তরফাভাবে রায় দিয়েছেন। যা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।’

এর আগে গত বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদার সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে দেন। এছাড়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়ার কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দু’জন হলেন— মাগুরার প্রাক্তন সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতকরা হলেন— বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

পরে খালেদা জিয়া পাঁচ বছরের সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। পাশাপাশি সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রিভিশন আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন।