মাছ-মাংসসহ অন্যান্য খাদ্য জনগণের জন্য নিরাপদ কি না? পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে- তা জানাতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশে আগামী ৫ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন আকারে বিষয়টি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে জনগণের জন্য মাছ-মাংসসহ নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের প্রতি নিরাপদ খাদ্য সরবারাহে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মেও রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জে আর খান রবীন।
বোতলজাত পানি নিয়ে গত বছরের ২৭ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার। এই রিটের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার সম্পূরক আবেদনটি হাইকোর্টে উত্থাপন করা হয়। পরে আদালত শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
রিটে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিসহ ১২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী রবীন জানান, নিরাপদ পানির বিষয়ে করা মামলার শুনানিতে জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার মাছ-মাংসসহ অন্যান্য খাবার নিরাপদ কি না জানার জন্য একটি নির্দেশনা চেয়েছিলাম। শুনানি শেষে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে রুল জারি করছেন। একই সঙ্গে মাছ ও মাংস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে জানাতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়া হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আগামী ৫ মে’র মধ্যে এই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।