দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট মনির হোসেনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই দুই আইনজীবী দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আইনজীবীদের অন্যতম সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী (সুপ্রিমকোর্ট বার) সমিতির ২০১৯-২০২০ সেশনের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য পানেলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে সম্পাদক পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বহিষ্কারের ঘটনায় অ্যাডভোকেট মনির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী এখানে দলীয়ভাবে কোনো প্যানেল দেয়া বা দলীয়ভাবে মনোনয়ন কেনার কোনো সুযোগ নেই। প্যানেল বা দলীয়ভাবে কেউ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তা হলে তার প্রার্থীতা বাতিল বলে গণ্য হবে। আমি সুপ্রিম কোর্ট বারে নির্বাচনী আরচণবিধি মোতাবেক এবারের নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে বিএনপি থেকে কোনো প্যানেল ঘোষণা করা হয়নি। যদি কোনো প্যানেলের কথা বলা হয়ে থাকে তবে সেটা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের মনগড়া প্যানেল, তার চাপিয়ে দেয়া প্যানেল-এটা বিএনপির দলীয় কোনো প্যানেল বলে আমার মনে হয় না। আমি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের কো-চেয়ারম্যান। বর্তমান সরকারের বিরদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও খালেদার জিয়ার মুক্তির জন্য আমি সবচেয়ে বেশি আন্দোলন-সংগ্রাম করছি যা সর্বজনস্বীকৃত।’
মনির হোসেন জানান, সুপ্রিম কোর্ট বারে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন একই পদে বারবার নির্বাচন করার কারণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের নেতৃত্ব শূন্যতা তৈরি করছেন, যা বিএনপির জন্য অশনিসংকেত। তিনি সরকারপক্ষ এবং বিএনপি উভয়পক্ষের আইনজীবীদের ভোট পাওয়ার আশায় সরকারবিরোধী এবং দলীয় কোনো কাজে ভূমিকা রাখেন না।
এ বিষয়ে বহিষ্কৃত অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান খানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জাগোনিউজ