পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য বিচারপতির বাসায় গিয়ে ঘুষ চাওয়ায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাদেকুল ইসলামকে (সাময়িক বরখাস্ত) দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. সাদেকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাদেকুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি থানার চড়োল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
বিচারক আসামিকে দণ্ডবিধির ৪১৯ ধারায় ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুদক আইনের ৫(২) ধারায় ১ বছর বিনাশ্রমে কারাদণ্ডাদেশ দেন। উভয় দণ্ড পৃথকভাবে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী ফজলুল হক বাবু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২৩ আগস্ট ২০১৬ সালে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের দুই মেয়ের পাসপোর্ট ভেরিফিকশনের জন্য তার বাসায় যান আসামি। এরপর বাসায় বিচারপতির স্ত্রী ডাক্তার সাবরিনা মোনাজিলিনের কাছে দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ডাক্তার সাবরিনা আসামি সাদেকুলকে চা নাশতা করার জন্য বকশিশ দিতে চাইলে না নিয়ে দুই হাজার টাকা চান তিনি। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় একই বছেরর ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা জজ হোসনে আরা শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে গত ৪ মে ২০১৭ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক রাহিলা খাতুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে বিভিন্ন সময়ে চারজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।