আফসানা জেরিন খান:
খতিয়ান বা খতিয়ানের নকল (কপি) পাওয়ার জন্য নিজ জেলার রেকর্ড রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। ভূমি জরিপের সময় খতিয়ান ১ নম্বর রেজিস্টার আকারে বাঁধাই করা ছাড়াও মূল খতিয়ানের অনেক কপি ছাপানো হয়। আবার বিক্রির জন্য রেকর্ড রুমেও পাঠানো হয়। এই খতিয়ান বিক্রয় খতিয়ান হিসেবে পরিচিতি।
জরিপের পর অনেক দিন হয়ে গেলে আর এই খতিয়ান পাওয়া যায় না। তবে জেলা রেকর্ড রুম থেকে খতিয়ান বা খতিয়ানের নকল দেয়ার নিয়ম আছে।
একমাত্র সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিস মিউটেশন খতিয়ান দিতে পারে। যদিও তহসিল অফিস কিংবা উপজেলা ভূমি অফিসে রেকর্ড থাকে তবুও তারা নকল দেয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত না। কিন্তু কোনো কোনো সময় দেখা যায় আপনি যে খতিয়ানের নকল চাচ্ছেন তা জেলা রেকর্ড রুমে নেই।
তহসিল বা উপজেলা ভূমি অফিসে আছে। তখন রেকর্ড রুমে আবেদন করলে এবং আবেদনে লিখে দিলে তহসিল বা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে একটি খসড়া চেয়ে পাঠায় বা নথিটি চেয়ে পাঠায়। তা থেকে নকল তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় অনেক দেরি হয়।
তবে আজকাল উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নকল দিতে দেখা যায়। কিন্তু দেওয়ানি আদালত এই নকল গ্রহণ করে না। তাই জেলা রেকর্ড রুম হতে নকল তুলতে হয়।
একটি আবেদনে একাধিক মৌজার নকল পাওয়া যায় না। একটি আবেদনে একাধিক জরিপেরও নকল পাওয়া যায় না। এক আবেদনে চারটির বেশি খতিয়ানের নকল পাওয়া যায় না। নকল পাওয়ার জন্য আবেদনের সাথে সাথে ৫ টাকার কোর্ট ফি দিতে হয়।
সাধারণ আবেদনে ৭২ ঘণ্টা পর নকল পাওয়ার কথা কিন্তু বাস্তবে অনেক দেরি হয়। ১০ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে জরুরি পাওয়ার আবেদন করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়ার কথা।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে আরএস খতিয়ান সংরক্ষণ করা হচ্ছে, কিন্তু এসএ খতিয়ানও আছে। এই অধিদপ্তর থেকে খতিয়ান তৈরির চূড়ান্ত প্রকাশনা স্তরে দুই মাস যাবৎ খতিয়ানের নকল নেয়া যায়।
লেখক : আইনজীবী, ঢাকা জজ কোর্ট।