বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেওয়া বাসের চালক ও চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল পর্যন্ত চাঁদপুর ও ঢাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার করা দুজন হলেন ঘটনার সময় চালকের আসনে থাকা ইয়াসিন ও চালকের সহকারী ইব্রাহীম। ইয়াসিন ওই বাসের কন্ডাক্টর। আবরারকে চাপা দেওয়ার সময় তিনিই বাস চালাচ্ছিলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার দিন সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বাস আবরারকে চাপা দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে মিরপুর গার্লস আইডিয়ালের সিনথিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। ওই শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে ইয়াসিন বাসটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পালানোর সময় বসুন্ধরার সামনে নদ্দায় বাসটি আবরারকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই আবরার নিহত হন।
উপকমিশনার জানান, ঘটনার পর কন্ডাক্টর ও বাসের চালক ইয়াসিন ও চালকের সহকারী ইব্রাহীম পালিয়ে যান। তদন্ত চালিয়ে ঘটনায় এঁদের যোগসূত্র পেয়ে ডিবি পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এখন তাঁদের ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। ইয়াসিন বাসটির কন্ডাকটর। ঘটনার সময় তিনিই বাসটি চালাচ্ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নদ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিইউপির ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। ওই দিন রাতে গুলশান থানায় মামলা হয়। ঘটনার পর একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সময় পুলিশ জানায়, সিরাজুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি বাসটি চালাচ্ছিলেন। সিরাজুলের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন বলে জানান ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। বসুন্ধরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে ও আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ব্যক্তির গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।