প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আইনজীবী ও বিচারকরা হচ্ছে একটি পাখির দুটি পাখার মতো। বাম হাত ও ডান হাতের মতো। তাদের পরস্পরের প্রতি আস্থার সম্পর্ক বিচার ব্যবস্থার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে রোববার (৩১ মার্চ) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবী এবং বিচারকদের সম্বলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ এগিয়ে যেতে পারে। এতে বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। বিচারক বা আইনজীবী কারোরই দায়িত্ব পালনে কোন অবহেলা কাম্য নয়। বিচারক ও আইনজীবী পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ থাকা জরুরী। একজন আইনজীবী সম্পর্কে বেঞ্চের ভাল ধারণা থাকা ওই আইনজীবীর জন্য সম্পদ। একই কথা প্রযোজ্য একজন বিচারকের বেলায়ও। অর্থাৎ আইনজীবী ও বিচারকরা হচ্ছে একটি পাখির দুটি পাখার মতো। বাম হাত ও ডান হাতের মতো। তাদের পরস্পরের প্রতি আস্থার সম্পর্ক বিচার ব্যবস্থার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, দেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে বিচার ব্যবস্থায়ও এসেছে আমূল পরিবর্তন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মামলার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগেরকার সময়ের চেয়ে কিছু সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যদিও বর্তমানে সারাদেশের মামলার সংখ্যার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা অপর্যাপ্ত। যে মামলা জটের মধ্য দিয়ে আমরা অতিবাহিত হচ্ছি, সেটি নিরসন করতে অধস্তন আদালতের বিচারক সংখ্যা ক্রমান্বয়ে দ্বিগুণ করা প্রয়োজন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটও বিবেচনা করতে হবে। আশা করি সরকার পর্যায়ক্রমে বিচারক সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গাজী শাহ আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আপীল বিভাগের বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি, জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস।