গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলো গত তিন বছরে গ্রাহকদের কত ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করেছে, কত টাকা বিল পেয়েছে- তা জানাতে এবং যে পরিমাণ অর্থ অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে তা তিনদিনের মধ্যে ফেরত দিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশে পাঠানো হয়েছে।
জনস্বার্থে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব রোববার (৩১ মার্চ) এই নোটিশ দিয়েছেন।
নোটিশে আগামী এক মাসের মধ্যে গ্যাসের ৩৮ লাখ গ্রাহকের সবাইকে প্রি-পেইড মিটার সংযোগ দিতে বলা হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্যাস সরবরাহকারী সব প্রতিষ্ঠানকে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী হুমায়ন কবির।
নোটিশে কোম্পানিগুলো গত তিন বছরে গ্রাহকদের কত ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করেছে এবং কত টাকা বিল পেয়েছে সেই তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার পল্লব জানান, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে একজন গ্রাহক প্রতিমাসে দুই চুলার মাধ্যমে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার গ্যাস ব্যবহার করেন। অথচ তাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৮০০ টাকা করে। এতে প্রতি বছর গ্রাহকদের কাছ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। যা সংবিধান পরিপন্থী ও গ্রাহকদের সঙ্গে কঠিন প্রতারণা। এ জন্যই আমরা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নোটিশে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করে এ বিষয়ে নির্দেশনা চাইব।