মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আজ সোমবার (১ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে, গত ১৪ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয়মাসের জামিন দিয়েছিলেন।
এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ রানার জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
এর আগে ফারুক হত্যা মামলায় কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টে জামিন মেলে রানার।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ জামিনের এ স্থগিতাদেশ চলমান রেখে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তির আদেশ দেন।
এ আদেশ অনুসারে শুনানি শেষে রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে নতুন করে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করেন রানা।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেছিলেন, ফারুক হত্যা মামলায় ৫ সেপ্টেম্বর এবং যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করেন আমানুর রহমান খান রানা।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তৎকালীন এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২/ ১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।