ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তদবির করতে গিয়ে আটক ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে জুয়েল রানার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গতকাল রোববার তাকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে গ্রেফতার করে রাজধানীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে জুয়েল রানা নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী জজ) পরিচয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মো. জাহিদুল কবিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য আসেন। ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেওয়ায় সিএমএম তাকে খাসকামরায় সাক্ষাৎ দেন।
সাক্ষাতের সময় খাসকামরায় তিনি নিজেকে ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত বলে জানান। এক পর্যায়ে তিনি একটি মামলার আসামির জামিনের বিষয়ে কথা বলেন। কথা বলার সময় কিছু ভুলশব্দ উচ্চারণ করেন। সেখানে ওই ব্যক্তি ‘সারেন্ডারের’ স্থানে ভুল উচ্চারণ করে ‘স্যালেন্ডার’ব্যবহার করেন। এতে সন্দেহ হয় জাহিদুল কবিরের।
ওই ব্যক্তিকে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেন। এরপর ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিসের পরীক্ষার রোল জানতে চাইলে তিনি একটি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বের করে দেন। সেখানে রোল নম্বর ছিল ৮২০৩। ওই রোল নম্বর যাচাই করে দেখা যায়, ওই রোল নম্বরের পরীক্ষার্থীর নাম ছিল আব্দুল্লাহ আল নোমান। বাড়ি কক্সবাজার জেলায়।
পরে জেরার এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তার আসল নাম মো. জুয়েল রানা। তিনি টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার বিশাদ বেটকা মুন্সিপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে।