গ্রিন লাইন পরিবহনকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এ আবেদন করা হয়। এতে গ্রিন লাইন পরিবহনের পক্ষে মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে আজ বুধবারের (১০ এপ্রিল) মধ্যে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাসেলকে গ্রিন লাইন পরিবহন মালিক কর্তৃক ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। অন্যথায় আগামীকাল ১১ এপ্রিল থেকে বাসটির টিকেট বিক্রি বন্ধ রাখতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
ক্ষতিপূরণের অগ্রগতির বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত ৪ এপ্রিল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিবহনটির ম্যানেজার মো. আব্দুস সাত্তারকে এ মৌখিক আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার শামসুল হক রেজা। অন্যদিকে গ্রিন লাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. অজি উল্লাহ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়িতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় তার বাসা।
এ ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন। পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাসেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে এবং তার কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়।
পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। গত ৩১ মার্চ বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এরপরও রাসেলকে ক্ষতিপূরণ দেয়নি গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।