ঢাকা মহানগরের (রুট নং এ-১৩৮) উত্তরা-রানীগঞ্জ থেকে সদরঘাটে চলাচলকারী সুপ্রভাত প্রাইভেট লিমিটেডের ১৬৩টি বাস চলাচলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তিতে বিআরটিএ’র প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সুপ্রভাত প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি’র করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া দুলাল।
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে ১৯ মার্চ বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর পরদিন সুপ্রভাত পরিবহনের বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআরটিএ।
বিআরটিএ’র উপপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শফিকুজ্জামান ভূঞা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ আইনের ৭২ ধারা অনুযায়ী ওই বাসগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের (রুট নং এ-১৩৮) উত্তরা-রানীগঞ্জ থেকে সদরঘাটে চলাচলকারী সুপ্রভাত প্রাইভেট লিমিটেডের সব বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
এরপর ১ এপ্রিল বাস চলাচলের অনুমতি চেয়ে বিআরটিএ’তে আবেদন করে সুপ্রভাত কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় ৮ এপ্রিল বিআরটিএ’কে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সুপ্রভাত।
আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, ১ এপ্রিল বিআরটিএ’তে করা সুপ্রভাতের আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিআরটিএ’কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভাসিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় ২০ মার্চ তার পরিবারকে জরুরি খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্ট আদেশ দেন। পরে ৯ এপ্রিল সেই আদেশ বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগ।