আগাম জামিন নিয়ে নতুন নির্দেশনা দেবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। নাশকতার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ এক ডজন বিএনপি নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিল অনুমতি) নিষ্পত্তি করে দেয়া রায়ে এ কথা জানিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এই আদেশ দেন।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ইতিপূর্বে আপিল বিভাগ আগাম জামিনের বিষয়ে গাইডলাইন (নির্দেশনা) দিয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট বিভাগ ওই গাইডলাইনের বাইরে গিয়ে অনেকগুলো মামলায় আট সপ্তাহ আবার কোনোটির ক্ষেত্রে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত আসামিদের আগাম জামিন দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে লিভ টু আপিল করা হয়। আপিল বিভাগ ওই আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।
তিনি জানান, যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করা হয়নি, সেহেতু আগাম জামিনের ব্যাপারে আপিল বিভাগ নতুন গাইডলাইন দেবেন। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
অন্যদিকে আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত রয়েছে চার সপ্তাহের বেশি জামিন দেওয়া যাবে না। জনস্বার্থে ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়া দরকার। কারণ আপিল বিভাগের আগের গাইডলাইনের কারণে আগাম জামিন সীমিত হয়ে গেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নাশকতার মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, খন্দকার মাহবুব হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরকতউল্লাহ বুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, হাজী সালাহউদ্দিন আহমেদ, মো. শাহজাহান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মোরশেদ হাসান খান ও মো. আমিনুর রহমানও আগাম জামিন পান। এরপর বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্টের দেওয়া ওই আগাম জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার ওই আপিল নিষ্পত্তির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।