অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ফরিদ মৃধাকে দুটি ধারায় ১০ ও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ফরিদপুরের একটি আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের হাকিম মো. মতিয়ার রহমান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় ফরিদ মৃধা (৩৩) আদালতে হাজির ছিলেন। পরে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তার সঙ্গে ফরিদ মৃধাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম রব্বানী ওরফে বাবু মৃধা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে ফরিদ মৃধাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। আদালত ১৮৭৮ সালের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের অস্ত্রসংক্রান্ত ধারায় (১৯ এ) আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং গুলিসংক্রান্ত ধারায় (১৯ এফ) ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দুটি সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে পারবেন আসামি।
গোলাম রব্বানী জানান, ২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট রাত ১১টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের আবদুল সিকদারডাঙ্গী গ্রামে ফরিদ মৃধার মালিকানাধীন বিকাশ ও ধর্মীয় লাইব্রেরিতে অভিযান চালায় পুলিশ। চরভদ্রাসন থানার পুলিশ তালা ভেঙে ওই লাইব্রেরিতে ঢোকে। সেখানে ছয় তাকবিশিষ্ট একটি স্টিলের আলমারির তালা ভেঙে তৃতীয় তাকে ধর্মীয় পুস্তকের আড়াল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আট ইঞ্চি লম্বা একটি নাইন এম এম পিস্তল, পাঁচটি গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন, গুলিবিহীন একটি ম্যাগাজিন ও দুটি লোহার ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ওই দিনই চরভদ্রাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোতা মিয়া বাদী হয়ে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি ধারায় অস্ত্র ও গুলি রাখার দায়ে ফরিদ মৃধাকে আসামি করে মামলা করেন। ওই থানার এসআই এমদাদুল হক ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদ মৃধাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
১৭ এপ্রিল একই আদালত ফরিদ মৃধার নামে ভাঙ্গা থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।