সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় অভিযোগপত্র দিতে হলে সরকারের অনুমোদন লাগে। এই অনুমোদন ছাড়া বগুড়ার এক মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে না আনায় মামলার সংশ্লিষ্ট পিপির (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়কে।
বগুড়া সদর থানায় করা ওই মামলায় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে উল্লেখ করে এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে রুবেলের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তারিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ।
পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৪০–এর ২ ধারা অনুসারে অভিযোগপত্র দাখিলের আগে সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। অথচ ওই মামলায় অনুমোদন ছাড়াই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে এবং অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ওই যুক্তিতে জামিন আবেদন করা হলে হাইকোর্ট রফিকুলকে জামিন দিয়েছেন।
রফিকুলের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর এখন সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে রফিকুল কারাগারে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই মামলার তদন্তের সময় একই বছরের ২৪ আগস্ট রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ওই বছরের ২৪ নভেম্বর রফিকুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে ২০১৫ সালে মামলাটি বগুড়ার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল–৪–এ বদলি হয়। ওই মামলায় বিচারিক আদালতে রফিকুল জামিন চাইলে গত বছরের ৬ জুন তা নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন রফিকুল। এর ওপর আজ শুনানি হয়।